Tuesday, December 4, 2018

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ভলেন্টিয়ারিজম


ভলেন্টিয়ারিজম কি?
উত্তর : যারা একটি নির্দিষ্ট কারণে বিনা পারিশ্রমিকে বা অভাবে অন্যদের জন্য কাজ করে সময় ও সেবা প্রদান করে তারাই ভলেন্টিয়ার, স্বেচ্ছাসেবী। স্বেচ্ছাসেবক  কাজ সাধারণত  পরহিত এবং স্বার্থহীন কাজ।
জীবনকে মানবিক ভাবে উন্নত করার মানসিকতার মানুষ স্বেচ্ছাসেবক হয়.
আপদ:-
অহেতুক ও ক্ষনস্থায়ী ঝামেলা বা সমস্যাকে আপদ বলে
বিপদ
প্রায় নিশ্চিত বা ব্যাপক ক্ষতি সম্মুখীন হওয়া

দুর্যোগ:-
যে সকল ঘটনা ব্যাপকভাবে মানুষের ক্ষতি সাধন করে এবং যা একার পক্ষে মোকাবেলা করা সম্ভব নয় তাকে দুর্যোগ বলে
দুর্যোগ দুই প্রকার:- ১ প্রাকৃতিক দুর্যোগ ২ মানবসৃষ্ট দুর্যোগ

প্রাকৃতিক দুর্যোগ:-   যে সকল দুর্যোগ প্রাকৃতিক ভাবে হয়ে থাকে তাকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বলে- যেমন:- ভূমিকম্প, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, নদী ভাঙ্গন, আগ্নেয়গিরি ইত্যাদি
মানবসৃষ্ট দুর্যোগ-  যে সকল মানুষের কারণে হয়ে থাকে তাকে মানবসৃষ্ট দুর্যোগ বলে যেমন -বালু উত্তোলন, নিয়ম না মেনে বিল্ডিং তৈরি করা, অগ্নিসংযোগ করা, নদীতে বাঁধ নির্মাণ করা

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা-
দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে বা ক্ষতি কমাতে যে সকল কার্য বা কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় তাকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বলে

১. দুর্যোগ পূর্ববর্তী ব্যবস্থাপনা- দুর্যোগ আসার পূর্বে যে সকল কার্যক্রম ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করা হয় তাকে দুর্যোগ পূর্ব ব্যবস্থাপনা বলে
নদী ভাঙ্গন রোধ করা,  নিরাপদ স্থান তৈরি,  ঘূর্ণিঝড় বার্তা প্রধান করা, দুর্যোগ আসার পূর্বে নিরাপদ স্থানে চলে আসা  ইত্যাদি

২. দুর্যোগকালীন ব্যবস্থাপনা-  যে সকল ব্যবস্থা দুর্যোগকালীন সময়ে গ্রহণ করা হয়ে থাকে তাকে দুর্যোগকালীন ব্যবস্থাপনা বলে

যেমন:- নিরাপদ স্থান থেকে বের না হওয়া, ভয় না পাওয়া, আতঙ্কিত না হওয়া, ছোটাছুটি না করা এবং খবর /বার্তা নিয়মিত নেওয়া

৩. দুর্যোগ   পরবর্তী  ব্যবস্থাপনা- কোন দুর্যোগ সংঘটিত হওয়ার পর যত দ্রুত সম্ভব যে ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করা হয় তাকে দুর্যোগ পরবর্তী ব্যবস্থাপনা বলে

যেমন:- আহত, নিহত ও নিখোঁজদের উদ্ধার, চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং হস্তান্তর করা

হস্তান্তর ব্যবস্থাপনা:-
হস্তান্তর ব্যবস্থাপনা  কয়েকটি ধাপে হয়ে থাকে। যেমন:-
১. তথ্য সংগ্রহ:- নাম ও ঠিকানা, পোশাক,  যে কোন চিহ্ন এবং শেষ অবস্থান।

২. চিহ্নিতকরণ:- ব্যক্তি যদি নিহত হয় এবং চেহারা বিকৃত হয় তবে তাকে শক্ত করার জন্য প্রথমে এমন ভাবে ছবি তুলতে হবে এবং তথ্য সংগ্রহ করতে হবে যা দেখে তার পরিচিত কেউ তাকে শনাক্ত করতে পারে। ছবি তোলার সময় প্রথমে তার মুখ এবং পরে তার সম্পন্ন দেহের ছবি নিতে হবে ও কোন কিছু তার দেহ থেকে খোলা যাবে না।

সেই ছবি প্রথমে হস্তান্তর ব্যবস্থাপনা ক্যাম্পের এর কাছাকাছি তথ্য কেন্দ্রের কাছে হস্তান্তর করতে হবে এবং তা যেন জনসাধারণ দেখতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে। সেখান থেকে তথ্য নিয়ে মিলিয়ে তারপর সনাক্তকরণ পদ্ধতিতে যেতে হবে এমন কাউকে নেওয়া যাবে না, যে বিকৃত দেহ দেখে ভয় পেতে পারে।

৩. যাচাইকরণ:- সনাক্তকরণ হলে তারপর তা যাচাই করতে হবে তথ্যদাতা বা শনাক্তকারী কি আসলেই নিহত ব্যক্তির সাথে কি হয়/ সম্পর্ক তা যাচাই করে নিতে হবে। তা যাচাই করার জন্য ওয়ার্ড কাউন্সিলর এর নিকট থেকে অথবা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছ থেকে সনাক্তকরণ বা পরিচয় পত্র নিয়ে আসতে হবে অথবা  প্রত্যয়ন পত্র  আনতে হবে। এই সকল তথ্য দিতে না পারলে তাকে হস্তান্তর করা যাবে না।


৪. তথ্য সংরক্ষণ:- সকল কিছু সঠিক  থাকলে সকল তথ্য হস্তান্তর পূর্বে একটি লিখিত বা ডাটা এন্ট্রি করে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ পরবর্তী সময়ে এই তথ্যভাণ্ডার থেকে জানা যাবে যে কে বা কতজন ব্যক্তি ভিকটিম বা হতাহত হয়েছে। সংরক্ষণ থেকে যেন বাদ না পড়ে এবং তথ্য যেন কোনভাবে ভুল অথবা অলিখিত না থাকে তার জন্য সঠিক তথ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।


৫. হস্তান্তর:- হস্তান্তর করার সময় নিহত ব্যক্তির সাথে সরকার কর্তৃক যে অনুদান দেওয়া হয় তা শনাক্তকারী ব্যক্তির নিকট সঠিকভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে এবং তা ছবি তুলে প্রমাণ রাখতে হবে।

No comments:

Post a Comment

সমাপনী ও জেএসসি পরিক্ষার ফলাফল প্রকাশ আজ যে কোন সিম থেকে 16222 নাম্বারে SMS করেই এখন জেনে নিতে পারবেন পরীক্ষার রেজাল্ট।

# সমাপনী  ও  # জেএসসি  পরিক্ষার ফলাফল প্রকাশ আজ.... এবার JSC/JDC/DPE/EBT রেজাল্ট চলে আসবে আপনার ফোনে! যে কোন সিম থেকে 16222 নাম্বারে S...